বেশ কিছুদিন আগে একটা প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী এক ডি এম কে ধমক দিয়ে বলছেন, তুমি যদি আমার দলের নেতা হতে তাহলে তোমাকে চড় মারতাম ।


খানাকুলে ঐ রকম একটা সভায় কয়েকজন যুবক কিছু বলতে চেয়েছিলেন সেখানেও মুখ্যমন্ত্রী মেজাজ হারালেন। মুখ্যমন্ত্রী কেন এত অসহিষ্ণু ও অধৈর্য হয়ে পড়েন? আবার হঠকারীও হয়ে যান ।আসলে ওনার সহজাত প্রবৃত্তি  এটাই ।অতীতের কিছু ঘটনা পাঠকদের মনে করিয়ে দিই।  ।কারন অতীতকে মানুষ ভুলে যায় ।সচেতন নাগরিক হিসেবে কিছু কিছু ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিতে হয় ।অতীত ও বর্তমান ঘটনাবলী বিশ্লেষণ করে মানুষ ভবিষ্যত সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারে ।ওনার সম্পর্কে দৈনিক সংবাদপত্র ও আমার জানা কিছু ঘটনা উল্লেখ করতে চাই ।প্রসঙ্গত যত দিন যাচ্ছে ততই উনি ভয়ঙ্কর হচ্ছেন ।এটা কিন্তু একদিনে হয়নি ।উনি যখন ছাত্র নেত্রী(কংগ্রেসের ) তখন কলকাতায় জননেতা জয়প্রকাশ নারায়ণের গাড়ি ঘিরে উনি তান্ডব করেছিলেন ।রনংদেহি মুর্তিতে লোকসভার স্পিকারের উদ্দেশ্যে কাগজপত্র ছুঁড়ে বিভৎসভাবে হাত নেড়ে চিৎকার চেঁচামেচি করেছিলেন ।অভিযোগ কি :-সি পি আই  (এম )এতবছর সরকারে থাকবে কেন ?সব ভুয়ো ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে ।যদিও উনি ভুয়ো ভোটার প্রমান  করতে পারেন নি ।এরকম অসংখ্য ঘটনা আছে।


মমতা ব্যানার্জি ২০১১ সালের মুখ্যমন্ত্রী হবার পর তাঁর আচরন সম্পর্কে প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরগুলি সংকলন  করার চেষ্টা করেছি মানুষের বোঝার জন্য ।দেখি ২০১১ সালের পর কয়েকটি সংবাদপত্রে  ওনার সম্পর্কে কি লেখা হয়েছিল, “০৭৷০২৷২০১৩ তারিখে “দ্য টেলিগ্রাফ “পত্রিকায় প্রথম পাতায় ইংরেজি শিরোনাম দিয়ে চার কলাম জোড়া লেখার খবর বেরিয়েছে –“সাবধান, দিদি চাবকানোর মেজাজে আছেন ।”মেলা  (বই )তে অমার্জিত পুলিশ  (কপু) ক্রোধোন্মত্ততার স্বাদ গ্রহণ করেছে ।তাঁর গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে বলে মমতা ব্যানার্জি তাঁর নিরাপত্তারক্ষী  বাহিনীকে চাবকানো উচিত বলেছেন ।

“আপনাদের চাবকানো উচিত “—চিৎকার করে  মমতা ব্যানার্জিকে বলতে শোনা গেল তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল ব্রাঞ্চ অফিসার কে কে দ্বিবেদীকে যাকে প্রায়ই তাঁর পিছনে হাঁটতে দেখা যায় ——–এই অফিসারকে যারা জানে বা চেনে তারা বলছেন যে, নিরাপত্তার দায়িত্বে ঐ অফিসার খুবই কর্তব্যপরায়ন এবং নিজের জীবন দিয়েও দায়িত্ব পালনে সদা প্রস্তুত । এইরকম কর্তব্যপরায়ন একজন আই পি এস অফিসারকে যদি মুখ্যমুন্ত্রী চাবুক মারার কথা বলেন তাহলে তাঁর দলের ছোট মাঝারি নেতারা কি বলবেন? শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রের কি হবে? হুগলির দাদপুরে অনুষ্ঠিত এক সরকারি অনুষ্ঠানে ভিত্তি প্রস্তর উন্মোচনের সময় রিমোট কন্ট্রোল ঠিকমত কাজ করেনি   বলে মেজাজ হারিয়েছিলেন ।মমতা পর্দার দিকে এগিয়ে গিয়ে টান দিতে শুরু করেছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের প্রতি ক্রুদ্ধ হয়ে, কিন্তু ক্রোধের প্রকাশ ঘটেনি ।এত তিরিক্ষি মেজাজ কেন? ০৭৷০২৷২০১৩ তারিখের “দ্য টেলিগ্রাফ “পত্রিকার শেষ পরিচ্ছদে একটি সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে লিখেছে গত শনিবার এবং এই বুধবারের মধ্যে একটা জিনিস পরিবর্তিত হয়েছিল ।”ছেলেরা কোথায় যাবে —–।তাদের আবার ব্যাঙ্গালোরে দৌড় দিতে হবে “———-বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের এই প্রশ্নের উত্তর তাঁর (মমতা )সরকার এখনও দিতে পারেনি ।

সূত্র -দ্য টেলিগ্রাফ ৭৷২৷১৩ 
দ্য টেলিগ্রাফ সঠিক ভাবেই লিখেছেন ঐ প্রশ্নের উত্তর  এখনও মমতা ব্যানার্জি দেয়নি ।বাংলার তরতাজা ছাত্র যুবরা একদিন না একদিন এই প্রশ্নের উত্তর তাদের জীবনের সাথে হিসাব  নিকাশ করবে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে, তবে সেটা হবে রাজপথে ।আপনি তৈরী থাকুন—-
১৯৷৭৷২২