আমরা যখন স্কুলে পড়তাম, রাজনৈতিক চেতনা যখন অতটা দানা বাঁধেনি, তখন খবরের কাগজ থেকে টিভি চ্যানেল হয়ে পাড়ার রাজা-উজির মারা বড়োদের আড্ডায় একটা কথা খুব ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কানে আসত – ‘সভ্য দেশে ধর্মঘট হয়না।‘ তখন তিন দশকের বাম শাসনের সূর্য অস্তগামী, আনন্দবাজারের ঠিক করে দেওয়া বাজার নির্ধারিত ভাষ্য তখন ক্রমে জনগণের কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে। ধর্মঘট যে জনতার দাবী আদায়ের একটি অপরিহার্য হাতিয়ার, সেই সত্য ভুলিয়ে দিতে চলছে প্রবল প্রচার। ধর্মঘট যেন একটি বিলুপ্তপ্রায় রোগ। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে এই রোগ আর কোথাও দেখা যায় না। এখানেও বাম সরকারের পতনের মধ্যে দিয়ে সেই রোগের নিরাময় সম্ভব। এই ছিল ভাষ্য। ২০১১ সালে সরকার বদলের পর এই প্রচার সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেল। ‘কর্মনাশা’ ‘সর্বনাশা’ ধর্মঘটের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির বিপরীতে দাঁড়িয়ে এই ‘অসভ্য’ প্রথাটির স্বপক্ষে বামেরা ছাড়া আর কোনো রাজনৈতিক দলকে বিশেষ কথা বলতে দেখা যায় না। আগে ‘সভ্য দেশে ধর্মঘট হয় না’ এই কথা বললে ক্ষীণ হলেও সাধারণ মানুষের তরফে প্রতিবাদ ভেসে আসত। এখন আসে না। এই কথাটা আর মতামত নেই, ধ্রুব সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আমরাও ‘সভ্য’ হয়েছি। 

কিন্তু সত্যিই কি তাই ? সত্যিই সোনায় গড়া ‘সভ্য’ দেশগুলিতে ধর্মঘট হয় না ? বলাই বাহুল্য, এ যে একদম ডাঁহা মিথ্যা কথা তা ধরে ফেললাম একটু যখন বয়স হতেই। বাইরের বিভিন্ন পত্রপত্রিকা বা সংবাদপত্র নিয়মিত পড়া শুরু করতেই অবাক হয়ে দেখলাম, তথাকথিত ‘সভ্য’ দেশগুলিতে (মূলতঃ পশ্চিম ইউরোপ আর আমেরিকাকেই বাংলা মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলো তাদের ঔপনিবেশিক হ্যাংওভার থেকে ‘সভ্য’ বলে থাকে) ‘অসভ্য’ ধর্মঘট শুধু হয়ই না, তার তীব্রতা, তার ব্যাপ্তি আর তার প্রভাবের সঙ্গে আমাদের দেশে আমরা ধর্মঘট বলতে যা বুঝি, তার কোনো তুলনাই হয় না। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। ২০১৯-২০ নাগাদ ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর পেনশন নীতির বিরুদ্ধে ফ্রান্সে রেল ধর্মঘট চলেছিল প্রায় দুই মাস। ক্রমে সেই রেল ধর্মঘট সাধারণ ধর্মঘটে পরিণত হয়, যেখানে শিক্ষক, আইনজীবী থেকে শুরু করে দমকলকর্মী সকলেই অংশগ্রহণ করেছিলেন। ফ্রান্সের রাজপথ উত্তাল হয়েছিল ধর্মঘটিদের মিছিলে। কোনো একটা প্রদেশে না, সারা দেশ জুড়ে স্তব্ধ হয়ে গেছিল রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। এবার স্মরণ করুন আপনার জীবদ্দশায় এইপ্রকার কোনো ধর্মঘট পশ্চিমবঙ্গে আপনি দেখেছেন কিনা ? উত্তর হল – দেখেননি। এই দেশের তথা রাজ্যের সংবাদমাধ্যম চিরকালই পাঠককে কুয়োর ব্যাঙ করে রাখতে আগ্রহী। বাইরের দেশের সংবাদ তাই তখনও এই দেশে বিশেষ প্রচার করা হত না, এখনও হয় না। যেটুকু করা হয়, তাতে মালিকপক্ষের ভাষ্যের বাইরে বা বিপক্ষে রয়েছে এমন খবর ছাপা হয় না অথবা হলেও অতি সংক্ষেপে দায় সেরে ফেলা হয়। এর সব থেকে বড়ো প্রমাণ হল, এই ২০২২ সালে জুন-জুলাই মাসের মধ্যে খাদ্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি এবং সারের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ইউরোপের একাধিক দেশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৃষক ও শ্রমিক ধর্মঘট সংঘটিত হয়েছে। তার খবর খুব স্বাভাবিক ভাবেই মূল ধারার কোনো সংবাদমাধ্যমই সচেতন ভাবে এড়িয়ে গেছে। এই খবর জানা প্রয়োজন। সেই কারণেই এই প্রবন্ধের অবতারণা।

সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ঘোষণা করা হয়েছিল, ইতিহাসের ইতি হয়ে গেছে। ‘There is no alternative’, হয় নব্যউদারনৈতিক অর্থনীতি গ্রহণ করো, নাহলে গোল্লায় যাও। দামামা পিটে বলা হয়েছিল, সমাজতন্ত্রের স্থান ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে। বিংশ শতকে সোভিয়েত জুজুর ভয়ে পশ্চিম ইউরোপের পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলি যে সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল, তা বিপদ কেটে যাওয়ার আনন্দে হাতুড়ি দিয়ে তা ভেঙে ফেলতে তারা দ্বিধা করেনি। কিন্তু ২০০৮-এর অর্থনৈতিক মহামন্দা প্রথম পশিচম ইউরোপকে বুঝিয়ে দিয়ে গেছিল, সব ঠিক নেই, ইতিহাস শেষ হয়ে যায় নি। এর পর থেকে নব্যউদারনীতি ভিত্তিক ব্যবস্থা ধীরে কিন্তু স্থির ভাবে অগ্রসর হচ্ছিল পতনের দিকে। তাও আশা করা হচ্ছিল এই পতনকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। কিন্তু ২০২০-এর কোভিড মহামারি ও ২০২২-এর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জোড়া ধাক্কা পর পর সজোরে এই ব্যবস্থার গোড়ায় দুটো হাতুড়ির বাড়ি মারলো। এই ইকোনমিক শক সামলাতে না পারার নব্যউদারনৈতিক অর্থনীতির ব্যর্থতাই আদতে প্রভূত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং তার বিরুদ্ধে জনক্ষোভ ও ধর্মঘটের কারণ।

প্রথমে শুরু করা যাক যুক্তরাজ্য দিয়ে। ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের আমলে সরকার বনাম শ্রমিকদের লড়াই-এ শ্রমিকদের পরাজয়ের পর জঙ্গী শ্রমিক আন্দোলনে অনেকটাই ভাটার টান দেখা যায়। কিন্তু ২০২২-এ সেই মরা গাঙে আবার জোয়ার এসেছে। ১৯৯৭ সাল থেকে ব্রিটেনের রেল ব্যবস্থা মূলতঃ বেসরকারী কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতিতে আবার সরকার সরাসরি রেলব্যবস্থা পরিচালনায় হস্তক্ষেপের পদক্ষেপ নিলেও এবং পুনঃজাতীয়করণের কথা অনেকবার তোলা হলেও এখনও রেলব্যবস্থা মূলতঃ বেসরকারী হতেই রয়েছে। বলাই বাহুল্য, রেলব্যবস্থাকে এই কোম্পানিগুলি জাতীয় পরিষেবা হিসেবে দেখে না, দেখে চট জলদি মুনাফার উপায় হিসেবে। যখন ব্রিটেনের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির হার ডাবল ডিজিট প্রায় স্পর্শ করছে, তখনও তাই তারা রেলকর্মীদের সামান্য দুই-তিন শতাংশ বেতনবৃদ্ধি নিয়েই খুশি থাকতে বলার মতো সাহস দেখাচ্ছে। এর পাশাপশি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদ, যার উপর রেলব্যবস্থার সুরক্ষা নির্ভর করছে, সেগুলি থেকে খরচ বাঁচাতে লোকছাঁটাই করতেও তারা দুবার ভাবছে না। ব্রিটেনের রক্ষণশীল সরকার নির্বিকার। এই পরিস্থিতিতে ব্রিটেনের বৃহত্তম বামপন্থী রেল ইউনিয়ন RMT গত ২১-শে জুন ধর্মঘট ডাকে। এই ধর্মঘটের প্রভাব পড়ে লন্ডন আন্ডারগ্রাইন্ড মেট্রো ব্যবস্থার উপরেও। অন্ততঃ সাত শতাংশ বেতন বৃদ্ধি, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করা সহ গুরুত্বপূর্ণ দাবী সম্বলিত এই দেশজোড়া ধর্মঘট এখনও চলছে দফায় দফায়।

ব্রিটেনে যখন এই ধর্মঘট চলছে, ইংলিশ চ্যানেলের এই পাড়ে তাঁদের ফরাসী সহকর্মীরাও পিছিয়ে নেই। তাঁরাও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বেতন বৃদ্ধির আন্দোলন করছেন। ফ্রান্সের রেলব্যবস্থা রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত। ফলে ব্রিটেনের থেকে তাঁদের কাজ অপেক্ষাকৃত সহজ। তাঁরা সরাসরি চাপে রাখতে পারছেন দেশের শাসকগোষ্ঠীকে। SNCF বা ফরাসী রেল সংস্থা, সাড়ে তিন শতাংশ মতো বেতন বৃদ্ধিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু কমিউনিস্ট প্রভাবিত CGT যারা ফ্রান্সের অন্যতম বৃহৎ ট্রেড ইউনিয়ন, তাঁরা বারবার ধরিয়ে দিয়েছেন যেখানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রায় আট শতাংশ স্পর্শ করছে, সেখানে এই বৃদ্ধি যথেষ্ট নয়। তাঁরা ৬-ই জুলাই জাতীয় ধর্মঘটের মাধ্যমে নিজেদের শক্তি একবার বুঝিয়ে দিয়েছেন। আলোচনার টেবিলে সমাধান না হলে সেপ্টেম্বর মাসে তাঁরা আরও দীর্ঘকালীন ধর্মঘটের পথে যাবে, এও তাঁরা জানিয়ে রেখেছেন। এই একই সময়ে ধর্মঘটে নেমেছেন পারি বিমানবন্দরের কর্মীরা। এই আন্দোলনেরও নেতৃত্ব দিচ্ছে CGT, তাঁদেরও একই দাবী, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বেতন বৃদ্ধি করতে হবে, ৭ থেকে ১০-ই জুলাই ইউরোপের ব্যস্ততম বিমানবন্দরের মধ্যে একটি, পারি বিমানবন্দর এই দাবীতে কর্মীরা কার্যত অচল করে দেন। বাতিল হয় অসংখ্য ফ্লাইট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁরা দাবী প্রায় ৬% বেতন বৃদ্ধির দাবী আদায়ে সক্ষম হন। ঐতিহাসিক ভাবে ধর্মঘটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে ইউরোপের বন্দর শ্রমিকরা। এইবার তার অন্যথা হয়নি। মুলতঃ মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট ট্রেড ইউনিয়নগুলি জার্মানির নর্থ সি-এর ব্যস্ততম বন্দরগুলি কার্যত স্তব্ধ করে দিয়েছে। তাঁদেরও একই দাবী। বাড়তে থাকা দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অবিলম্বে বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে এই ধর্মঘট, এই লেখা যখন লেখা হচ্ছে, সেই শনিবার পর্যন্ত এখনও টানা আন্দোলন চলছে। এই ধর্মঘট এই প্রথমবারও না। গত তিনমাস ধরেই দফায় দফায় বন্দরশ্রমিকরা নিজেদের দাবী আদায়ে ধর্মঘট করেছেন। এখনও অবধি প্রায় ছয়টি বন্দরে এই ধর্মঘট প্রসারিত হয়েছে। গত ২০-শে জুন বেলজিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে একদিনের জাতীয় সাধারণ ধর্মঘট, মূলতঃ বামপন্থীদের নেতৃত্বে। প্রায় ৮০ হাজার লোক ঐ দিন নেমে এসেছিলেন ব্রাসেলসের রাস্তায়। সারা দেশে বিমান ও রেল যোগাযোগ শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ ধর্মঘটে মুখ থুবড়ে পড়েছিল, আলোচনায় বসতে বাধ্য হয়েছে সরকার।

শ্রমিকদের পাশাপাশি কৃষকরাও সামিল হয়েছেন ইউরোপের এই ধর্মঘটের মরশুমে। সার ও বীজের ক্রমবর্ধমান মূল্য বৃদ্ধি ও পরিবেশ রক্ষার নামে কোনো বিকল্প না দিয়েই সস্তা রাসয়নিক সারের ব্যবহার বন্ধ করার প্রচেষ্টার প্রেক্ষিতে ইউরোপ দেখছে কৃষকদের এক নতুন ধরণের আন্দোলন। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ট্র্যাক্টর দিয়ে অবরোধ করে ধর্মঘট করেছেন কৃষকরা। আমরা ভারতীয়রা এই ধরণের আন্দোলন কৌশল আগেই দেখেছি ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনে। জুন মাসে নেদারল্যান্ড থেকে প্রথমে এই আন্দোলন শুরু হলেও, জুলাই মাসে বর্তমানে তা ছড়িয়ে পড়েছে ইতালি, জার্মানি ও পোল্যান্ডেও। কৃষকদের উপর গুলি চালানোর মতো ঘটনাও ঘটেছে। এই প্রকার গণ কৃষক আন্দোলন ইউরোপে নতুন। তাঁদের ধর্মঘট ও অবরোধ চলতে থাকে শ্রমিক আন্দোলনগুলির সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার সম্ভবনা নানা কারণে ক্ষীণ। তবুও এই আন্দোলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 যাকে বাংলার সংবাদমাধ্যমগুলো আমাদের সভ্য দেশ বলে চিনিয়েছে, তাদের মাত্র গত দুই মাসের প্রধান প্রধান ধর্মঘটগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেখেই আশাকরি বুঝতে পারছেন কেন এই দেশের সংবাদপত্রে এই খবরগুলি গুরুত্ব পায় না। কারণ গুরুত্বলাভ করলে ‘ধর্মঘট সভ্য দেশে হয় না’ বলে যে ভাষ্য তুলে ধরার চেষ্টা তাঁরা চালাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে, তা মাঠে মারা যাবে। ধর্মঘট অসভ্যতার নিদর্শন নয়, বরং সচেতন জনগণ ও শ্রমিক-কৃষক শ্রেণীর নিজের অধিকার বুঝে নিতে ধর্মঘট একটি অপরিহার্য অধিকার। এই অধিকার আমাদের রাজ্যে ও দেশে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে অনেকটা গত একবছরে। আমরা বারে বারে দেখেছি কিভাবে রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকার ধর্মঘটকে ‘অবৈধ’ হিসেবে প্রচার করার চেষ্টা করেছে বারংবার। দুঃখের বিষয়, তাঁদের পেটোয়া গণমাধ্যমগুলির অষ্টপ্রহর প্রচারে এর প্রভাব জনমানসে যথেষ্টই পড়েছে, বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ছাত্র ও যুব সমাজেও। এই অপপ্রচারের পাল্টা প্রচারে প্রয়োজন শুধু পশ্চিম না, গ্লোবাল সাউথেরও আন্দোলন সংবাদ নিয়মিত ছড়িয়ে দেওয়া। এর পাশাপাশি আমরা সমাজতন্ত্রীরা মনে করি আন্তর্জাতিকতাবাদ আমাদের মতাদর্শের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই আন্তর্জাতিকতাবাদ আমাদের সমাজতান্ত্রিক দেশপ্রেমের পরিপন্থী নয়, বরং পরিপূরক। বিশ্বের যেখানে যারা আমাদের লড়াই লড়ে চলে তাদের লড়াই এর কাহিনী থেকে আমরা সংগ্রহ নির্দ্বিধায় আহরণ করি প্রেরণা। ইউরোপে বর্তমানে যে ‘Summer of Discontent’ বা ‘অসন্তোষের গ্রীষ্ম’-এ শ্রমিক ও কৃষকদের লড়াই ক্রমে গতি সঞ্চয় করছে, তার দিকে নজর রাখা এই দুটি কারণেই আমাদের কর্তব্য।