স্বাধীনতার 75 বছরে পরাধীনতার বিরুদ্ধে সংগ্রামে দেশের তরুণ সমাজের অবদান প্রসঙ্গে আলোচনা আমরা শুরু করব অষ্টাদশ শতাব্দীর তিনের দশক থেকে। সেই সময়ে যে সংগঠনগুলি গড়ে উঠেছিল সেগুলির বেশির ভাগেরই কার্যক্রম ছিল জাতীয়তাবোধ গড়ে তোলার প্রয়াসকে কেন্দ্র করে। তার সাথে ছিল অন্যান্য আরো গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। প্রথমে আলোকপাত সেদিকেই।
পরাধীন জাতির মনে জাতীয়তাবোধ ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি করাই ছিল সে সময়ের মূল কাজ। তার সাথে ছিল দেশবাসীর সংস্কারমুক্ত ও যুক্তিবাদী মন গড়ে তোলার কাজ। একাজে ডিরোজিও-র নেতৃত্বে হিন্দু কলেজ (অধুনা প্রেসিডেন্সি কলেজ)-এর ছাত্রদের নিয়ে 1827-28 সালে গড়ে উঠেছিল একাডেমিক এসোসিয়েশন—দেশের প্রথম ছাত্র সংগঠন। এদের মুখপত্রের নাম ‘পার্থেনন'(1829-30)। অন্ধবিশ্বাসকে আক্রমণ, সতীদাহ রদ, বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধকরণ, বিধবাদের সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গী, নারীশিক্ষার সপক্ষে মতামত ও বিতর্ক সংগঠিত করা ছিল এদের উল্লেখযোগ্য কাজ।
1832 সালে রাজা রামমোহন রায়ের ছোটোছেলে রমাপ্রসাদ রায়, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, শ্যামাচরণ গুপ্ত, জয়গোপাল বসু প্রতিষ্ঠা করেন ‘সর্বতত্ত্বদীপিকা সভা’। পরে এটির নামকরণ করা হয় ‘বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা'(1836)। বাংলা ভাষায় সাহিত্য, সংস্কৃতি রাজনীতি বিষয়ক আলোচনা সভা। এছাড়া ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নির্দেশিত নিষ্কর জমি বাজেয়াপ্তকরণের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার কাজে এই সভার ভূমিকা ছিল। এটি দেশের প্রথম রাজনৈতিক সভা।
হিন্দু কলেজ সহ কলকাতার নানা কলেজের ছাত্রদের সংগঠন ছিল ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, মধুসূদন দত্ত প্রতিষ্ঠিত ‘সাধারণ জ্ঞানোপার্জিকা সভা'(1838)।
1841 সালে সমস্ত জাতি, বর্ণ ও ধর্মের ভারতীয়র জন্য গঠিত হয় ‘দেশহিতৈষী সভা’। এদের বলিষ্ঠ মত ছিল এই যে, স্বাধীনতাহীনতাই আমাদের সমস্ত দুর্দশার কারণ।
1843 সালে গড়ে ওঠে ‘বেঙ্গল ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি’। ছাত্ররাই ছিল এই সংগঠনের প্রধান স্তম্ভ। এটি ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজস্ব শোষণের প্রধান স্তম্ভ জমিদারি ব্যবস্থার বিরোধী সংগঠন। এর সভাপতি ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক জর্জ টমসন এবং সম্পাদক প্যারীচাঁদ মিত্র।
1875 সালে আনন্দমোহন বসু ও সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্রদের মধ্যে দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টির লক্ষ্যে গড়ে তুললেন ‘স্টুডেন্টস এ্যাসোসিয়েশন’।
1876 সালের 26শে জুলাই কলকাতার কলেজ স্ট্রিটের আ্যলবার্ট হলে (অধুনা কফি হাউস) আনন্দমোহন বসু, শিবনাথ শাস্ত্রী, দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ গড়ে তুললেন ‘ভারত সভা’। এর প্রথম সভায় শতকরা 75 ভাগ শ্রোতাই ছিল কলেজ ছাত্র। এই সংগঠনের লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশবিরোধী জনমত গঠন, ভারতীয়দের ঐক্যবদ্ধ করা, হিন্দু-মুসলমান ঐক্য স্থাপন, রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলা ও জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটানো। এই সংগঠনের দেশজুড়ে ছিল 124টি শাখা। জাতীয় কংগ্রেস গড়ে ওঠার আগে এটিই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন। এরপরে আমরা দেখি ব্রাম্ভ সমাজ সংস্কারক শিবনাথ শাস্ত্রীর উদ্যোগে তাঁর কিছু ছাত্র ও তরুণ অনুগামী নিয়ে গঠিত হয় ‘সমদর্শী গোষ্ঠী’। যাদের লক্ষ্য ছিল স্বায়ত্তশাসনের প্রতি আনুগত্য, জাতিভেদ বিরোধিতা ও প্রত্যেকটি সভ্যের অর্জিত সম্পদে সকলের সমান অধিকার ও সেই সাধারণ সম্পদ দেশের কাজে লাগানো।
ৎক্ষণস্থায়ী এই সংগঠনগুলি তৎকালীন প্রেক্ষিতে অবশ্যই পরাধীনতার বিরুদ্ধে গণচেতনা গড়ে তোলায় নিজ নিজ সাধ্য ও সামর্থ্য অনুযায়ী ভূমিকা পালন করেছে। সর্বোপরি তরুণ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ গড়ে তোলার কাজে এদের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য।
ইতিমধ্যে 1857 সালে সংঘটিত হয়েছে মহাবিদ্রোহ। বিশিষ্ট দার্শনিক ও চিন্তাবিদ কার্ল মার্কসের মতে ভারতের প্রথম স্বাধীনতার যুদ্ধ। এই বিদ্রোহের ব্যাপক অভিঘাতে কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটল। পত্তন হল ইংল্যান্ডের রানীর শাসন। সে অন্য অধ্যায়, অন্য আলোচনা।
1885 সালে গড়ে উঠল জাতীয় কংগ্রেস। যদিও কংগ্রেসের স্বাধীনতার জন্য প্রত্যক্ষ সংগ্রামে অবতীর্ন হতে কেটে গেছে অনেকগুলি বছর। আবেদন-নিবেদনের মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসনের দাবি নাকি পূ্র্ণ স্বাধীনতার দাবি এই নিয়ে নরমপন্থী-চরমপন্থীদের বিতর্ক চলেছে বহু বছর। সে আলোচনা এখানে প্রাসঙ্গিক হবে না বোধ হয়। বরং নিবন্ধের শিরোনামের প্রতি বিশ্বস্ত থাকাই ভালো।
1905 সালে বঙ্গ প্রদেশ দ্বিখন্ডিত করার লক্ষ্যে বড়োলাট লর্ড কার্জনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গড়ে উঠল তুমুল আন্দোলন। বঙ্গ প্রদেশের সচিব কার্লাইলের সার্কুলারে বলা হল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের বঙ্গভঙ্গ বিরোধী স্বদেশী আন্দোলনে যোগ দেওয়া কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু সরকারি কালা আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন আরো তীব্র আকার নিল। গড়ে উঠল ‘আ্যন্টি সার্কুলার সোসাইটি'(4ঠা নভেম্বর,1905)। পোড়ানো হল সার্কুলারের কপি। কোনো দমন-পীড়নেই দমানো গেল না আন্দোলন। অবশেষে প্রত্যাহৃত হল সার্কুলার। কয়েকবছর পরে 1911 সালে বঙ্গভঙ্গের প্রস্তাবও প্রত্যাহার করতে বাধ্য হল ব্রিটিশ শাসকরা। সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনের গর্ভে ব্যাপক ভিত্তিক গণসংগঠন হিসাবেই গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছে ‘আ্যন্টি সার্কুলার সোসাইটি’।
বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের আবহেই গড়ে উঠল সশস্ত্র বিপ্লববাদী আন্দোলন। বিপ্লবী সংগঠন গড়ে তোলার লক্ষ্যেই 1902 সালে অরবিন্দ ঘোষের বাংলায় আগমন। গড়ে উঠল বিপ্লবী সংগঠন অনুশীলন সমিতি (1902) ও যুগান্তর গোষ্ঠী (1906)। 1903 থেকে 1905 সাল সময়কালটি হল বাংলায় বিপ্লবের বাণী প্রচারের অধ্যায়। প্রকাশিত হল সশস্ত্র বিপ্লবীদের মুখপত্র সন্ধ্যা, বন্দেমাতরম, যুগান্তর প্রভৃতি পত্রিকা। এই আন্দোলনের কুশীলবরা সবাই ছিলেন বয়সে তরুণ, সাহসী ও দেশের স্বাধীনতার জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত।
ফরাসি বিপ্লবের ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ অরবিন্দ উপলব্ধি করেছিলেন যে, পিটিশনের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা লাভ করা যাবে না, সশস্ত্র বিপ্লবের মধ্য দিয়েই তা অর্জন করা যাবে।
মাণিকতলায় বোমা কারখানা থেকে শুরু করে ক্ষুদিরাম-প্রফুল্ল চাকি, বিনয়-বাদল-দীনেশের মহাকরণের অলিন্দ যুদ্ধের পর্ব, মহারাষ্ট্রে,পাঞ্জাবে বিপ্লববাদী আন্দোলনের পর্ব, গদর বিদ্রোহ, ভগৎ সিং ও তাঁর সাথিদের বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম তথা ফাঁসির মঞ্চে জীবন বলিদান এবং মাষ্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের দীর্ঘ পর্বের শেষে 1934-35 সালে বিপ্লববাদী আন্দোলন স্তিমিত হয়ে গেল। কিন্তু অসংখ্য বিপ্লবীর শহীদত্ব বরণ ও বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম দেশপ্রেমের আগুন জ্বেলেছিল কোটি প্রাণে। যাদের জেলে ও আন্দামান সহ বিভিন্ন বন্দি শিবিরে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল তারা গভীর আত্মজিজ্ঞাসা ও অধ্যয়নের মধ্য দিয়ে মার্কসবাদের আদর্শ গ্রহণ করলেন এবং জেলের অভ্যন্তরেই গড়ে তুললেন কমিউনিস্ট কনসলিডেশন। এই বিপ্লবীদের অধিকাংশই তৎকালীন অবিভক্ত ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিলেন। একাংশ যোগ দিলেন কংগ্রেস ও আর এস পি দলে।
বিপ্লবী আন্দোলনে সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ বাহিনীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু এই প্রয়াস সফল হতে পারেনি দেশের ও বিশ্বের পরিস্থিতিগত নানা কারণে।
এবারে আলোচনায় আসা যাক স্বাধীনতা সংগ্রামে কমিউনিস্ট কর্মপন্থা সম্পর্কে। 1917 সালে রুশ বিপ্লবের সাফল্য পৃথিবীর অনেক দেশের মতো আমাদের দেশেও বেশ কিছু তরুণের মধ্যে সাম্যবাদী ভাবধারা সম্পর্কে আকর্ষণ সৃষ্টি করে। তাঁরা অভাবনীয় ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে গড়ে তোলেন কমিউনিস্ট পার্টি। মস্কোর কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক অভিমত পোষণ করে যে, সংস্কারের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জিত হবে না। ব্রিটিশ সরকার প্রস্তাবিত বিভিন্ন শাসন সংস্কার নীতির প্রেক্ষিতে এই অভিমত পোষণ করা হয়েছিল। দেশের শ্রমজীবী মানুষকে নিয়েই স্বাধীনতা অর্জনের পথে এগোতে হবে। তাই গড়ে উঠল শ্রমিক সংগঠন এ আই টি ইউ সি। পরবর্তী সময়ে কৃষক সভা, ছাত্র ফেডারেশন গড়ে তোলা হয়। ভগৎ সিং-এর নেতৃত্বে গড়ে ওঠে যুব সংগঠন নওজোয়ান ভারত সভা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গড়ে ওঠে ফ্যাসিবিরোধী লেখক শিল্পী সংঘ। চটকল, সুতাকল, ইঞ্জিনিয়ারিং, রেল এবং ডাক ও তার শ্রমিকদের আন্দোলন-ধর্মঘট সংগঠিত হয়। মীরাট ষড়যন্ত্র মামলা সহ বিভিন্ন মামলায় কমিউনিস্ট নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সাজা দেওয়া হয়। কিন্তু সাম্যবাদী আদর্শে দীক্ষিত দেশ ও দেশের শ্রমজীবী মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ তরুণ কমিউনিস্টদের দমাতে পারেনি ব্রিটিশের রক্তচক্ষু দমন-পীড়ন। কমিউনিস্টরা 1921 সালে কংগ্রেসের আমেদাবাদ অধিবেশনে প্রথম পূর্ণ স্বাধীনতার প্রস্তাব উথ্থাপন করে। সেই সময়ে কংগ্রেসের মঞ্চে কমিউনিস্ট সোসালিস্ট সবাই কাজ করতেন। জাতীয় কংগ্রেস পূর্ণ স্বাধীনতার প্রস্তাব উথ্থাপন ও গ্রহণ করে 1929 সালে লাহোর অধিবেশনে।
;আর একটি প্রসঙ্গের অবতারণা করে আলোচনায় ইতি টানব। সেটা হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের সমাজতান্ত্রিক রাশিয়া আক্রমণ করায় ফ্যাসিবাদের বিপদ বড়ো হয়ে গেল। আর এই বিপদ প্রতিহত না করে দেশের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়। কমিউনিস্টরা এই কথা বলায় তার অনেক অপব্যাখ্যা করা হয়। কিন্তু 1945 সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে ফ্যাসিস্টদের পরাজয়ে দুনিয়া জুড়ে গণ আন্দোলন ও জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের জ্বালামুখ খুলে গেল। আমাদের দেশেও তাই ঘটল। দেশের বিভিন্ন বন্দরে নৌ বিদ্রোহ, বোম্বাই সহ নানা শহরে শ্রমিক আন্দোলন ও ধর্মঘট, তেভাগার দাবিতে বাংলায় কৃষক সংগ্রাম, কেরালায় পুনাপ্পা ভায়ালার সংগ্রাম, ব্রিটিশ সামরিক আদালতে লাল কেল্লায় নেতাজির আজাদ হিন্দ বাহিনীর জওয়ানদের বিচারের বিরুদ্ধে তাদের মুক্তির দাবিতে তুমুল গণসংগ্রাম গড়ে ওঠে। এই সংগ্রামগুলির নেতৃত্বে ছিল বামপন্থীরা। ব্যাপক অংশগ্রহণ ঘটেছিল তরুণদের। আজাদ হিন্দ বাহিনীর ক্যাপ্টেন রশিদ আলির মুক্তির দাবিতে কলকাতায় অনুষ্ঠিত হাজার হাজার ছাত্রের বিশাল মিছিল ও বিক্ষোভ ইতিহাস হয়ে আছে।
1946 সালের প্রথম ভাগ পর্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামের অধ্যায় কালিমালিপ্ত হয়ে গেল ওই বছরের দ্বিতীয় ভাগে ভ্রাতৃঘাতী দাঙ্গা ও দেশভাগ-বাংলাভাগের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতায়। এর জন্য দায়ী দ্বিজাতি তত্ত্বের আমদানি। অর্থাৎ ধর্মের ভিত্তিতে জাতি নির্ধারণের প্রশ্ন। একটি ভুল লাইন। এদেশে 1937 সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের প্রথম উদগাতা আর এস এস নেতা বিনায়ক দামোদর সাভারকার। যাদের বিশ্বাস ঘাতকতা ছাড়া দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে কোনও অবদান নেই। পরে 1940 সালে মুসলিম লীগের লাহোর অধিবেশনে পাকিস্তান প্রস্তাব গৃহীত হয়। এই দুই সাম্প্রদায়িক শক্তির অন্যায় দাবিতে ভ্রাতৃঘাতী দাঙ্গা ও অবশেষে দেশভাগের মধ্য দিয়ে এল স্বাধীনতা। ইতিহাসের কষ্টি পাথরে দেশভাগের বিচার চাই। আর প্রত্যয়দৃঢ় অবস্থান চাই আর কোনোমতেই দেশকে ভাগ হতে দেব না। মানুষের দুর্ভেদ্য ঐক্য গড়ে তুলে স্বাধীনতার মর্মবস্তুকে রক্ষা করতে হবে।
এই হোক স্বাধীনতার 75 বছরে সকল দেশবাসীর তথা তরুণ প্রজন্মের শপথ।